ঢাকা , সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ , ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে শঙ্কা কবিরাজের কাছে গিয়ে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ দেশজুড়ে অপরাধ বাড়াচ্ছে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র দখলদারদের লোভের শিকারে খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী সংকটাপন্ন প্রবাসীর স্ত্রীসহ আটক শিবির সেক্রেটারিকে স্থায়ী বহিষ্কার চাঁদপুরে রঙিন সুতোয় জামদানি তৈরিতে সাড়া ফেলেছেন রনি চিলমারীর চরে স্বপ্ন বুনছেন হাজারও ভূমিহীন কৃষক লিচু বাগানে কুমড়া চাষে সফল স্কুল শিক্ষক জনি প্রশংসায় ভাসছেন গাংনীর ইউএনও প্রীতম সাহা কুমিল্লায় বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় বাসমতি চাউল জব্দ মতলবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সূর্যমুখী চাষ দুর্ভাগ্য কাটছেই না ম্যানসিটির বিশ্রাম ছাড়া ম্যাচ খেলবে না রিয়াল জোড়া গোল এমবাপের, ভিয়ারিয়ালের সাথে জয় পেলো রিয়াল এবার আইপিএলকে টেক্কা দিতে আসছে সৌদি লিগ অবসরের ইঙ্গিত দিলেন বিরাট কোহলি নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তা পেলোনা পাকিস্তান বাংলাদেশ সফরে আসছে প্রোটিয়া ইমার্জিং দল আপাতত শেষ হচ্ছে না ফিল সিমন্স অধ্যায়

চাঁদপুরে রঙিন সুতোয় জামদানি তৈরিতে সাড়া ফেলেছেন রনি

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরে রঙিন সুতোয় জামদানি তৈরিতে সাড়া ফেলেছেন রনি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে রঙিন সুতোয় জামদানি শাড়ি তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন রনি পাটোয়ারী। তিনি হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই জামদানি শাড়ি দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে চান এই উদ্যোক্তা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজের একটি দোচালা টিনের ঘরে ক্ষুদ্র পরিসরে জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত রনি। জামদানি শাড়ি তৈরির উদ্যোক্তা রনি পাটোয়ারী বলেন, আমরা সাত ভাইবোনসহ পরিবারের সবাই মিলে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ করছি। ইতোমধ্যে ভালো সাড়া পেয়েছি। এ কাজে আরো অনেকের কর্মসংস্থান তৈরির প্রত্যাশা করছি। এজন্য আমার সরকারি-বেসরকারি সহয়তা খুব প্রয়োজন। রনি বলেন, আমার তৈরি এক একটি জামদানি শাড়ির বর্তমান মূল্য ৩৭০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কারো চাহিদানুযায়ী অর্ডার পেলে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দামের জামদানি শাড়ি তৈরিও করতে পারি। আমার এ কাজকে এগিয়ে নিতে আমি সবার দোয়া চাই।
রনির বাবা বিল্লাল পাটোয়ারী বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিক অভাব কাটাতে রনি হাইমচর ছেড়ে পাড়ি জমায় নারায়ণগঞ্জে। পরে সেখানে নানা জায়গায় থেকে জামদানি কাপড় বোনার পুরো কাজ রপ্ত করে সে পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে। একাডেমিক পড়াশুনা না থাকলেও এখন এই শাড়ি বিক্রিতেই রনি সংসারের হাল ধরেছে।
রনির মা সালমা বেগম বলেন, সুতা, নাটাই, কাঠের ফ্রেম, কেচিসহ নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে একা হাতে এক একটি জামদানি তৈরি করতে রনির তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। এ কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার এলেও তা ডেলিভারি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ আলগী দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সর্দার আব্দুল জলিল বলেন, রনির জামদানি শাড়ির এই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানকে অনেক বড় করতে আমার পরিষদ থেকে সহায়তা থাকবে। আমি চাই, এই শিল্প প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, প্রশাসনিক বিভিন্ন মেলায় এই জামদানি শাড়িকে তুলে ধরাসহ এ শিল্পটিকে ছড়িয়ে দিতে রনির এই শিল্প তৎপরতাকে ঘিরে আরো ব্যাপকভাবে কর্মপরিকল্পনায় নেয়া হবে। ওর যেকোনো সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য