ঢাকা , শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫ , ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
ফেনীতে ৩ সমন্বয়ককে পিটিয়ে আহত মেহেরপুরে মাইক্রোবাস ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩ পণ্যের নামে বিষ কিনে খাচ্ছেন মানুষ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেন-দুদু বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের চিকিৎসা কার্যক্রমে স্থবিরতা পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত, ভারতের পাশে দাঁড়ালো ইসরায়েল চাকরি ফিরে পাচ্ছেন ডা. জোবাইদা রহমান ব্যবসায়ীর ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর আহত ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্থাপনে ইউজিসির নতুন নীতিমালা ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়ে জামায়াত আমিরের প্রতিক্রিয়া মাকে স্বাগত জানানো সবাইকে ধন্যবাদ তারেকের নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ শুরু শিল্পখাতে অশনি সংকেত ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে নাগরিক ঐক্যের বর্ধিত আলোচনা মূল্যস্ফীতির উদ্বেগ কাটেনি বাড়ি ভাড়া-চালের দামে অস্বস্তি একনেক সভায় ৩ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে ৫ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিশোধ নেয়ার নির্দেশ শাহবাজ শরিফের পাকিস্তানের পাশে তুরস্ক, ভারতের হামলাকে বললো উসকানিমূলক

চাঁদপুরে রঙিন সুতোয় জামদানি তৈরিতে সাড়া ফেলেছেন রনি

  • আপলোড সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৩-২০২৫ ১২:১৭:২৩ পূর্বাহ্ন
চাঁদপুরে রঙিন সুতোয় জামদানি তৈরিতে সাড়া ফেলেছেন রনি
চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে রঙিন সুতোয় জামদানি শাড়ি তৈরি করে সাড়া ফেলেছেন রনি পাটোয়ারী। তিনি হাইমচর উপজেলার দক্ষিণ আলগী দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম চর কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই জামদানি শাড়ি দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে চান এই উদ্যোক্তা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজের একটি দোচালা টিনের ঘরে ক্ষুদ্র পরিসরে জামদানি শাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত রনি। জামদানি শাড়ি তৈরির উদ্যোক্তা রনি পাটোয়ারী বলেন, আমরা সাত ভাইবোনসহ পরিবারের সবাই মিলে জামদানি শাড়ি তৈরির কাজ করছি। ইতোমধ্যে ভালো সাড়া পেয়েছি। এ কাজে আরো অনেকের কর্মসংস্থান তৈরির প্রত্যাশা করছি। এজন্য আমার সরকারি-বেসরকারি সহয়তা খুব প্রয়োজন। রনি বলেন, আমার তৈরি এক একটি জামদানি শাড়ির বর্তমান মূল্য ৩৭০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে কারো চাহিদানুযায়ী অর্ডার পেলে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দামের জামদানি শাড়ি তৈরিও করতে পারি। আমার এ কাজকে এগিয়ে নিতে আমি সবার দোয়া চাই।
রনির বাবা বিল্লাল পাটোয়ারী বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিক অভাব কাটাতে রনি হাইমচর ছেড়ে পাড়ি জমায় নারায়ণগঞ্জে। পরে সেখানে নানা জায়গায় থেকে জামদানি কাপড় বোনার পুরো কাজ রপ্ত করে সে পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে। একাডেমিক পড়াশুনা না থাকলেও এখন এই শাড়ি বিক্রিতেই রনি সংসারের হাল ধরেছে।
রনির মা সালমা বেগম বলেন, সুতা, নাটাই, কাঠের ফ্রেম, কেচিসহ নানা যন্ত্রপাতি দিয়ে একা হাতে এক একটি জামদানি তৈরি করতে রনির তিন থেকে চার দিন সময় লাগে। এ কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার এলেও তা ডেলিভারি দিতে সময় লেগে যাচ্ছে। এ বিষয়ে দক্ষিণ আলগী দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সর্দার আব্দুল জলিল বলেন, রনির জামদানি শাড়ির এই ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানকে অনেক বড় করতে আমার পরিষদ থেকে সহায়তা থাকবে। আমি চাই, এই শিল্প প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যাক।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, প্রশাসনিক বিভিন্ন মেলায় এই জামদানি শাড়িকে তুলে ধরাসহ এ শিল্পটিকে ছড়িয়ে দিতে রনির এই শিল্প তৎপরতাকে ঘিরে আরো ব্যাপকভাবে কর্মপরিকল্পনায় নেয়া হবে। ওর যেকোনো সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য